
শৈহ্লাচিং মার্মা, রুমা প্রতিনিধি:
বান্দরবানের থানচিতে খেয়াং নারীকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেন রুমা আদিবাসী ছাত্র সমাজ।
আওয়ামী লীগের অফিস প্রাঙ্গন থেকে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে রুমা বাজারসহ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ হরি মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে সমাবেত হয়।
রুমা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মংমিন মার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে যুবনেতা মং এসিং মার্মা উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুবনেতা উক্যচিং মার্মা।
আরো বক্তব্য দেন আদিবাসী খিয়াং জনগোষ্ঠী কল্যাণ সমিতি সাবেক সহ-সভাপতি মংশৈপ্রু খিয়াং, বাংলাদেশ ত্রিপুরা ছাত্র ফোরামের রুমা উপজেলা শাখার সভাপতি রিপন ত্রিপুরা ও জন ত্রিপুরা।
বক্তারা বলেন, চিংম্রা খিয়াং এর হত্যাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এদিকে তিন্দু ইউনিয়নের স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার সকালে চিংমা খিয়াং(২৯) জুমখেতে ধান রোপন করতে পাহাড়ে যান। তাঁর দুপুরে ফিরে বাড়িতে ভাত খাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফিরে না আসায় বিকেলে পরিবারের লোকজন ও পাড়াবাসী খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
সোমবার(৫মে) খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জঙ্গলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পায়। ওই চিহ্ন অনুসরণ করে নির্মাণাধীন থানচি-রেমাক্রি-লেইক্রি সড়কে নালায় লাশটি খুঁজে পাওয়া যায়। লাশটি বিবস্ত্র ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন ।
পাড়াবাসী জানিয়েছেন, ওই নারী গত রোববার(৪মে) সকালেও একাই ধান রোপণ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জুমে যাওয়ার পর কিছু দূরে তিনজন লোকজন দেখতে পান। তাঁকে দেখে অশোভন আচরণ করতে থাকে। ভয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়িতে ফিরে আসার বিষয়টি তিনি পরিবারের লোকজনকে জানায়।
মর দেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ উপড়ে ফেলানো এবং শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ।
তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা জানিয়েছেন, দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর নারীকে হত্যা করা হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। ওই নারীর তিন সন্তানের মধ্যে দেড় বছরের এক সন্তান রয়েছে। ঘটনাস্থলটি নেটওয়ার্কবিহীন এলাকা।
স্থানীয়রা আরো ধারণা করছে, সীমান্ত সড়ক নির্মাণের শ্রমিকররা এ জঘন্য কাজের সাথে জড়িত বলে মনে করছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের আঘাতের চিহ্ন, চোখ উপড়ে ফেলা এবং রক্তাক্ত অবস্থা সেই আশঙ্কায় করছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।