মিয়ানমারে খাদ্য সামগ্রীর পর এবার পাচারের তালিকায় গাড়ী!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে এবার পাচারের তালিকায় যোগ হলো ট্যুরিস্ট যান হিসেবে পরিচিত একটি লাল-হলুদ বর্ণের একটি চাঁন্দের গাড়ী।যার লট নং-৬৪।
খবর পেয়ে বাধা দিতে যান বিজিবি’র কয়েকজন জোয়ান। কিন্তু বিধিবাম পাচারকারীরা উল্টো বিজিবি জোয়ানদের গাড়ী চাপা দেন। এতে অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পান চাকঢালা বিওপির জোয়ানেরা।

৮ মার্চ( শনিবার) ভোর ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চাকঢালা,জামছড়ি,নিকু ছড়ি সাপমারা ঝিরি হয়ে দেশীয় এবং মিয়ানমারের বিভিন্ন পণ্য
পাচার করে যাচ্ছে চিহ্নিত চোরাকারবারি সিন্ডিকেট। তারা এপার থেকে নিয়ে যাচ্ছে সার, তেল, ওষুধ, ঢেউটিন, সিমেন্ট, দেশীয় তৈরী অস্ত্রসহ হরেক রকম পণ্য।পাশাপাশি পাচারের তালিকায় যোগ হয়েছে দুইটি ইঞ্জিন চালিত দামী গাড়ী। যার একটি মিনি ট্রাক এবং একটি ছাঁদখোলা জীপ। ওপার থেকে আনা হচ্ছে ক্রিস্টাল মেথ আইস,ইয়াবা,মাদকের চালান,সুপারি,নিষিদ্ধ সিগারেট ও গবাদি পশু সহ নানা পণ্য।

সীমান্তের বাসিন্দা আবদূর রহিম, সৈয়দ আহমদ, আবদুল হাকিম সহ বেশ কয়জন জানান, চোরাকারবারি মাদু, সেলিম ও নুর মোহাম্মদের সিন্ডিকেট গাড়ী দুইটি পাচারে জড়িত।
গাড়ী দুইটি পাচারকালে দুইজন সোর্স সহ আনুমান ৩০ জন পথ পাহারায় ছিলেন বলে তাদের ভাষ্যে ফুটে উঠে। চাকঢালার কালু ফকির সড়ক, আশারতলী ও সাপমারা ঝিরি হয়ে গয়ালমারা পুরান মাইজ্যা সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার প্রবেশ করিয়ে দেয় বলে স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ পায়।গাড়ী দুইটি পাচারে বাধা আসায় ওপারের এএ এর একটি টহল দল ফাঁকা গুলি ছুড়ে ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

অভিযুক্ত সিন্ডিকেট প্রধান মোহাম্মদ হোছন মাদু বলেন, মানুষ বললেই কি করবো। এসব পাচারে আমি জড়িত না। একই সিন্ডিকেটের সদস্য মোহাম্মদও একই মন্তব্য করেন। সিন্ডিকেট সদস্য সেলিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রচার। এগুলো মাদু ও নুর মোহাম্মদ নিয়েছে। তবে স্থান ভেদে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চোরাচালান হচ্ছে বলে শুনেছেন।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি’র অধিনায়ক লে:কর্ণেল একেএম কফিল উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি এ সংক্রান্তে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।