
নুরুল হুদা:
দীর্ঘ ৯ বছরের অধিক সময় ধরে গুম ও ভারতের শিলংয়ে নির্বাসিত জীবন যাপনের পর দেশে এসে কক্সবাজার থেকে রাজধানীতে ফেরার সুদীর্ঘ ১০ বছর দুই মাস ১৪ দিন পর তিনি আবার ফিরে আসছেন নিজের জন্মভূমি কক্সবাজারে। আগামি ২৮ আগষ্ট দুপুর ১২টায় পা রাখবেন কক্সবাজার বিমান বন্দরে। ধন্য হবে সমুদ্র জনপদের এই মাটি।
দিনটিকে ঘিরে কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলার পাড়ায় মহল্লায় চলছে উৎসবের আমেজ। ঢাকঢোল বাজিয়ে প্রস্তুতি চলছে সালাহউদ্দিন আহমদকে বরণ করার।
তারই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ উপজেলা বিএনপির এক প্রস্তুতি সভা অদ্য সোমবার বিকার ৩ ঘটিকায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যলালয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. হাসান ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সাঃ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ৪ বারের সাংসদ আলহাজ্ব শাহ জাহান চৌধুরী বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৫ সালের ১০ মে রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি ভবন থেকে সাদা পোষাকধারী আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ‘গুম’ হন কক্সবাজারের কৃতি সন্তান, তৎকালীন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদ। দুই মাস একদিন পর ‘গুম রাজ্য’ থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরের গলফ কোর্স ময়দানে উদ্ধার হলেও ফিরতে পারেননি নিজের মাতৃভূমিতে।
তারপর কেটে গেছে অনেকদিন, অনেক বছর।
তিনি কক্সবাজার থেকে ফিরে গিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে। এবার ফিরে আসছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য হয়ে। তাহলে তো আয়োজনও তেমনই হওয়ার কথা। প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদকে এমন ভাবে বরণ করা হবে, যেটি অনেককাল ইতিহাস হয়ে থাকবে। জেলাজুড়ে সৃষ্টি করা হবে ‘গণপ্লাবণ’।
এজন্য তিনি নেতা কর্মীদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ ও নানা দিকনির্দেশনা দেন।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার, উপজেলা বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব রাশেদুল করিম মার্কিনসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়রের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।