
নাফটুডে২৪ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বন্যার পানিতে নিঁখোজ ইমরান (২২) নামে আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) উপজেলার নারায়নহাট ইউনিয়নের ইসহাক ডাক্তারের বাড়ির পূর্ব পাশে মইঙ্গে পুকুর পাড় নামক স্থান থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে উপজেলাটিতে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ইমরান ওই এলাকার তাজুল ইসলাম সওদাগরের ছেলে।
জানা যায়, নিহত ইমরান নারায়ণহাট ইউনিয়নের মির্জারহাটের হালদার কূলে বন্যায় আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে পানিতে ভেসে গিয়ে নিঁখোজ হয়। দুইদিন পর আজ তার মরদেহ পাওয়া যায়। ইমরানের বড় ভাই গত ৬ মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
এর আগের দিন শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রজি আহমদ ও মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সামির (১০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ( ২২ আগস্ট) ভূজপুরের কবিরা পাড়া এলাকায় ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যান একই এলাকার মৃত সোলতান আহমদের রজি আহমদ। তবে ছেলেটি বিদ্যুতের খুঁটি আগলে ধরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ ছিলেন বাবা। পরদিন শুক্রবার ওই এলাকায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
একই দিন শুক্রবার বন্যার পানিতে ডুবে নিঁখোজ হওয়া মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সামি (১০) নামে এক শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। উপজেলার দাঁতমারা ইউপির শান্তিরহাট বাজারের পূর্ব পাশে তার মরদেহটি পাওয়া যায়। নিহত সামি ওই এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড সাদিনগরের ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, সামিসহ তিন শিশু সড়ক দিয়ে পার হওয়ার সময় বন্যার পানির স্রোতে ভেসে যায়। এ সময় দুইজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে সামি। পরে নিঁখোজ হওয়ার অদূরে তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, বন্যার পানিতে একজন শিশুসহ নিঁখোজ তিনজনেরই মরদেহ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, টানা কয়েকদিনের ভারিবর্ষণে ফটিকছড়িতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।