
নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে দুই শিশুসহ তিনজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। বন্যার পানিতে ডুবে একজনের প্রাণহানিও ঘটেছে ফটিকছড়িতে । বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এসব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দাঁতমারা ইউপির শান্তিরহাটের সাদি নগরে সামি নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়। সামি সাদিনগর এলাকার হামিদের ছেলে। রাস্তা পার হওয়ার সময় পানির স্রোতে সামিসহ তিন শিশু তলিয়ে যায়। বাকি দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও সামির কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বাজার পরিচালানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান বলেন, আমরা স্থানীয় লোকদিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি শিশুটিকে পাওয়া যায়নি,আগামীকাল আবার উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে।
এদিকে ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে ডুবে গিয়ে আরও এক ব্যক্তি নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে ভূজপুরের কবিরা পাড়া এলাকায়। ছেলেটি বিদ্যুতের খুঁটি আগলে ধরে প্রাণে বাঁচে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
এছাড়া উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নের মির্জারহাট এলাকায় হালদা তীরে অন্যজনকে বাঁচাতে গিয়ে ইমরান নামে এক যুবক পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইমরান ইদিলপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
অপরদিকে রাঙ্গুনিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানি দেখতে গিয়ে ভেসে নিখোঁজ হয়েছে মো. রনি (১৭) নামে এক কিশোর।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলা দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ফুলবাগিচা গাবতল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রনি ওই এলাকার আবু বক্করের ছেলে এবং পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক।
নিখোঁজ কিশোরের প্রতিবেশী মো. ইউসুফ আলী জানান, এদিন সকাল থেকে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গাবতলের ভেতরে বাইস্সা ডেবা দিয়ে হালিম শাহ মাজারের আগে সড়কের উপর দুই ফিটের উপর পানি উঠে যায়। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় আশেপাশের গ্রাম। সেখানে চার—পাঁচজন কিশোর কলাগাছের ভেলা নিয়ে ঘুরতে যায়। এরমধ্যে রনিও ছিলো। একপর্যায়ে ঢলের মধ্যে সবাই নিরাপদে উঠে যেতে পারলেও ভেসে যায় রনি। এরপর ফায়ার সার্ভিসসহ এলাকার জনসাধারণ অনেক খোঁজ চালিয়েও তার কোন সন্ধান পায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. জাহেদ বলেন, বন্যার পানিতে নিখোঁজ কিশোরকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়েছে। রাতের মধ্যে পাওয়া না গেলে দিনে আবারও উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।